top of page

এই সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা কি এবং কেন?

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা জাতীগত ভাবে একটি স্বাধীন ভুখন্ডের নাগরিক হয়েছি বটে কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে যে প্রাপ্য অধিকার শিক্ষা, কর্ম সহ অনেক মৌলিক অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত।

আমাদের এই অনগ্রসরতার ঐতিহাসিক কারন হিসাবে চিহ্নিত করা যায় যেমন:

* ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৭১ এই সূদীঘ ২১৪ বছরের ঔপনিবেশিক শাষকদের শাষন ও শোষন সর্বপরি এই ভুখন্ডের অধিবাসীদের সকল  সম্পদ বিদেশীদের কাছে চলে যাওয়া।

* এই দেশে নিজস্ব সম্পদ না থাকায় শিল্প নির্ভর কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে না উঠা।

* এই দেশের মানুষের শিক্ষাগত দিক দিয়ে পশ্চাদপদতা।

* ভৌগলিক দিক দিয়ে এই ভুখন্ডটি প্রাকৃতিক হামলার শিকার তথা প্রতি বছরে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে শতশত কোটি টাকার সম্পদ বিলিন হওয়া।

* সর্বপরি রাজনৈতিক অস্থিরতা|

 

উল্লেখিত কারন সমূহ এই দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম প্রধান বাধা হিসাবে চিহ্নিত। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ স্বাধীন হলেও পরবর্তি সময়ে দেশের সরকার ও দেশের কর্মমূখী উদ্দ্যেক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে  আশা অনুরুপ সাফল্য অর্জন করতে পারে নাই। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজও পরনির্ভর ও দেশের সাধারন মানুষের কর্মের অধিকাররের নিশ্চয়তা সৃস্টি হয় নাই।

 

বাংলাদেশের মানব সম্পদ :

বাংলাদেশের যে সম্পদ রয়েছে তার মধ্যে জনগোষ্টি একটি সম্পদ হিসাবে গন্য করা যায়। বর্তমান পৃথিবীতে বাংলাদেশের জন সংখ্যার দিক দিয়ে ৮ম রাষ্ট্র। আমাদের মোট জন সংখ্যার মধ্যে কমর্ক্ষম জনশক্তি প্রায় ১০০.০০০.০০০ (দশ কোটি)। আভ্যন্তরিন কর্ম সংস্থানের পরে এই মোট জনশক্তির প্রায় ৪০% (চার কোটি) বেকার। দেশের আভ্যন্তরিন এই জনশক্তি বর্তমান রাষ্ট্রীয় উনড়বয়নের ধারায় কর্ম সংস্থান করতে আরো ৮/১০ বছর এর প্রয়োজন এবং প্রয়োজন বিশাল অর্থনৈতিক বিনিয়োগ। যা আপাতত আমাদের রাষ্ট্রিয় অর্থনৈতিক বিনিয়োগের ক্ষমতা নেই । সুতরাং দেশের এই উদবৃত্ত বেকার জনশক্তিকে সুষ্ঠ ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে রফতানিই হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারত্ব নিরসনের একমাত্র সহজ উপায় তথা কর্মসংস্থান নীতির অন্যতম অংশ।

 

অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশ রয়েছে যারা অর্থনৈতিক উনড়বতির শিখরে অবস্থান করার পরেও জনসংখ্যার দিক দিয়ে তাদের জনসংখ্যা লগুত্বের কারনে অর্থনৈতিক ভাবে বিকশিত উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে গিয়ে বিদেশ থেকে শ্রমশক্তি আমদানী করতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বাধ্য হচ্ছে। বিগত ১৯৭০ দশকের শেষ ভাগে এসে সরকারী ভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক বহিবিশ্বে রফতানী উৎসাহীত করা শুরু হয় এবং বিগত ২৫/২৮ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২.০০০.০০০ (বার মিলিয়ন) জনশক্তি বিভিন্ন ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন  রাষ্ট্রে গিয়ে নিজেদেও কর্মসংস্থান করেছেন এবং তারই সুবাদে আজ দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশ ও দেশের জনগনের উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকা শক্তি হিসাবে সরকারী ভাবে স্বীকৃত। বলা হয় বর্তমানে প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দেশের বৃহত্তর বৈদেশিক মুদ্রার উৎস। ১৯৭৮ সাল হতে শুরু হয়ে আজ পর্জন্ত ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মী শ্রমিক যারা প্রতিবছরে ১৪.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স প্রেরন করে দেশের অর্থনীতিকে একটি সুদৃড় ভিত্তির উপর দাড় করিয়েছে। কিন্তু তার বিনিময়ে প্রবাসী জনগন সরকার হতে কি পেয়েছে? শুধু বৈদশিক মুদ্রার অর্জনকারী খাতে প্রদত্ত সরকারের ইসসেনটিভ এর সামান্য একটি অংশ যদি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ করা হতো তাহলে দেশে বিদেশে প্রবাসী জনগনের কর্ম জীবন ও সামাজিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে দেশে আরো বহুগুন রেমিটেন্স আনয়নের রাস্তা করা যেতে পারত।

 

সরকারের হিসাবে বিগত ২০১৩ সালে  সরকারী হিসাবে প্রবাসীরা  ১৪ বিলিয়ন ডলার (১৪০০ কোটি ডলার)  দেশে পাঠিয়েছে। প্রবাসীদের আয় সত্যিকার ভাবে আমরা মনে করি এর  প্রায় দ্বিগুন ২৪ বিলিয়ন ডলার অথাৎ  ২৪০০ কোটি ডলার। কারন বিদেশ হতে এই অর্থের বিশাল একটি অংশ বেসরকারী ভাবে আদান প্রদান হয় ও  একটি বড় অংশ প্রবাসে বিনিয়োগ হয়। যার কোন হিসাব সরকারের কাছে নেই। প্রবাসীদের উৎসাহীত করা গেলে এই বিনিয়োগ দেশে আসতে পারে। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক বিনিয়োগ বান্ধব ও সরকারী নীতিমালা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাবিহীন স্বচ্ছ প্রশাসন ও রাজনৈতিক স্থিরতা।  

 

বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশ :

বর্তমানে বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন  দেশে যে ভাবে বাংলাদেশী জনগন বসবাস করছে তাতে কওে স্পষ্টই প্রতিয়মান হয় যে বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষুদ্র একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের একটি জেলা বা উপজেলার জনগোষ্টির সমান বাংলাদেশী জনগন আজ পৃথিবীর বহু দেশে বসবাস করছে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বা শহরে। যেমন ইংল্যান্ডে ইস্টলন্ডন, ম্যানচেষ্টার, ইতালীর রোম, মিলান  গ্রিসের এথেন্স, স্পেনের মাদ্রিদ,  ফ্রান্সের প্যারির্স, আমেরিকার নিউইয়র্ক, কানাডার টরেন্টো, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, দুবাই, জেদ্দা, মক্কা উলেখযোগ্য।

 

এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে জুড়ে অনেক শহরে লক্ষাধিক বাংলাদেশী একই শহরে বসবাস করছে। প্রবাসে বাংলাদেশী জনগন তাদের স্ব স্ব প্রয়োজনে ও উদ্দ্যেগে স্থানীয় ভাবে তাদের সমস্যা নিরসনের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতি ও সংগঠন গড়ে তুলে তার মাধ্যমে প্রবাসী জনগনের সমস্যার সমাধানে ও নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ধারন ও বহন করতে স্বচেষ্ট রয়েছে। কিন্তু সেগুলোকে দেখাশোনা করার জন্য সরকারের সংস্লিস্ট প্রবাসী মন্ত্রনালয়ের বা দূতাবাস সমূহের যথেস্ট কর্মকান্ড  নেই। আমাদের দাবীর মুখে ২০০১ সালে প্রবাসীদের জন্য মন্ত্রনালয় গঠিত হয়েছে। প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনায়য়ের মাধ্যমে সরকার প্রবাসীদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজও করছে কিন্ত সেই কাজের ফলাফল এখনো প্রবাসীদের কাছে পৌছাচ্ছে না। প্রবাসে ১২ মিলিয়ন বাংলাদেশের নাগরিক জনগনের পক্ষে কথা বলার জন্য সরকারে প্রতিনীধি নেই।

 

বাংলাদেশের নাগরিক এই প্রবাসী জনগন। এই জনগনের অধিকার তাদের সুখ দুঃখ নিয়ে কথা বলার জন্য বাংলাদেশে যথেস্ট সংগঠন নেই। আর যারা আছে তাদের ভুমিকা যেথেস্ট নয়। আমরা মনে করি প্রবাসী জনগনের অধিকার ও  সুযোগ সুবধা নিশ্চত করতে হলে সাংগঠনিক ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। পাশাপশি সরকারের সংস্লিস্ট দফতর সমূহে আমাদের প্রবাসীদের জন্য কাজ করতে সুশিক্ষিত ‍ অভিজ্ঞ প্রবাসী সংগঠকদের কাজ করার জন্য স্থান করে দিতে হবে।

 

মন্ত্রনালয়ের এই কর্মকান্ড শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না প্রবাসেও বাংলাদেশের দূতাবাস সমূহের মাধ্যমে স্থানীয় প্রবাসী জনগনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

 

উলেখিত বিষয়গুলোর আলোকে সরকারের কর্মকান্ডের পাশে সহযোগীতা এবং প্রবাসী জনগনকে তাদের হাজারো সমস্যায় তাদের পাশে দাড়ানোর লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের বেকারদের জন্য প্রবাসে আরো কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টির লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রবাসী উনড়বয়ন সমিতির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই সংস্থা ইতি মধ্যে ইতালী, ইংল্যান্ড ও মালয়েশিয়া তার শাখা অফিস স্থাপন করে প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে আসছে। ইতিমধ্যে এই সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ সমূহ আমেরিকা, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপান, সাউথ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিনড়ব দেশে প্রবাসীদেও সাথে যোগাযোগ ও প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

 

Shah Mohammed Taifur Rahman Choton

শাহ মোহাম্প্রমদ তাইফুর রহমান ছোটন এ্ই প্রবাসী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হিসাবে

২০০২ সাল হতে দায়ীত্বে নিয়োজিত আছেন।

email : presidente@italbangla.net 

Tel. +39 3274953442

      + 8801715063157

I'm a title

I'm a paragraph. Click here to add your own text and edit me. It’s easy. Just click “Edit Text” or double click me and you can start adding your own content and make changes to the font.

I'm a title

I'm a paragraph. Click here to add your own text and edit me. It’s easy. Just click “Edit Text” or double click me and you can start adding your own content and make changes to the font.

ইতাল বাংলা সমিতি

শাহ মো: তাইফুর রহমান ছোটনের উদ্দ্যেগে প্রতিষ্ঠিত ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যানে ১৯৯২ সাল হতে কাজ করে আসছে এই সমিতি।

www.italbangla.net

সর্ব ইউরোপীয় বাংলাদেশ সমিতি -আয়েবা

শাহ মো: তাইফুর রহমান ছোটনের উদ্দ্যেগে ২০১২ সালে ১-২ ডিসেম্বর এথেন্স কনভেনশনের মাধ্যমে গঠিত হয় ইউরোপীয় ৩০টি দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কল্যানে কাজ করতে প্রতিষ্ঠত সর্বজনীন সংগঠন আয়েবা

www.aeba.eu

PASSIONATE PEOPLE:

Join Our Team

bottom of page